ফিজিওথেরাপি নেওয়ার উপকারিতা কি কি  ?

ফিজিওথেরাপি নেওয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে, যা শারীরিক সমস্যা সমাধান এবং দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনে। এখানে ফিজিওথেরাপির প্রধান উপকারিতাগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. ব্যথা কমানো

ফিজিওথেরাপি বিভিন্ন ব্যথা, যেমন ব্যাক পেইন, আর্থ্রাইটিস, মাংসপেশির টান, বা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এর জন্য থেরাপিস্ট বিশেষ ধরনের ব্যায়াম ও ম্যানুয়াল থেরাপি প্রয়োগ করেন।

২. চলাফেরা সহজ করা

ফিজিওথেরাপি মাংসপেশি ও জয়েন্টের শক্তি এবং নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। এতে রোগীর চলাফেরা স্বাভাবিক হয়, যা স্ট্রোক, স্পোর্টস ইনজুরি, বা আঘাতের পরে কার্যকর।

৩. সার্জারির প্রয়োজন কমানো

অনেক ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি ব্যথা ও আঘাতের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে, যা সার্জারির প্রয়োজন কমিয়ে আনে বা তা এড়াতে সহায়ক।

৪. আঘাতের পর পুনর্বাসন

স্ট্রোক বা আঘাতের পর ফিজিওথেরাপি পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে। এতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল ও কাজকর্মে ফিরে আসতে সহায়তা পাওয়া যায়।

৫. বয়সজনিত সমস্যা মোকাবিলা

ফিজিওথেরাপি বয়সজনিত সমস্যা যেমন আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের সমস্যাগুলো সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি পেশির শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক, যা বয়সে কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৬. শরীরের ভারসাম্য উন্নত করা

বয়স বা আঘাতের কারণে শরীরের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে ফিজিওথেরাপি ব্যালান্স ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে, যা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।

৭. স্পোর্টস ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা

ফিজিওথেরাপি স্পোর্টস ইনজুরি বা পেশি আঘাতের দ্রুত সেরে ওঠা নিশ্চিত করে এবং পুনরায় এমন আঘাতের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

৮. ওষুধমুক্ত এবং নিরাপদ

ফিজিওথেরাপি পদ্ধতিটি সাধারণত ড্রাগ-মুক্ত হওয়ায় এটি নিরাপদ এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে।

৯. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে শারীরিক ব্যথা ও অস্বস্তি কমায় মানসিকভাবে স্বস্তি লাভ হয়। এতে রোগীর আত্মবিশ্বাস ও জীবনের মান উন্নত হয়।

ফিজিওথেরাপি নিয়মিত নেওয়ার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা, মুভমেন্ট, এবং দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *